শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
জনি সাহা : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা।
আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে তারা রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটি-এর ব্যানারে প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল চাই কমিটি এই বিক্ষোভ করেন।
তাদের দাবি, আগের মতো প্যানেল গঠন করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জানান, ২০১৮ সালের প্রাইমারি নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেওয়া হোক। অতীতের বছরগুলোর মতো প্যানেল গঠন করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
সংগঠনটির সভাপতি মো. আব্দুল বাতেন রাজিব জানান, প্যানেল গঠন করে শিক্ষক নিয়াগের নজির নতুন নয়। এর আগেও ২০১০, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও প্যানেল গঠন করে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ বছর এমনিতেই যেহেতু ৪ বছর পর এই নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তাই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করে দেখা দরকার। কারণ এবছর নিয়োগ না পেলে অনেক প্রার্থীরই আর নিয়োগের বয়স থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকেরও প্রচণ্ডভাবে সংকট রয়েছেন, তাই আমরা চাই আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অতি দ্রুত প্যানেল গঠন করে নিয়োগ দেওয়া হোক।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন প্রায় ২৪ লাখ প্রার্থী। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। কিন্তু এই ৫৫ হাজারের মধ্যেও সবাই আবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেননি। মৌখিক পরীক্ষাতে অংশ নেওয়া সবাইকে নিয়োগের জন্যই আন্দোলনকারীরা দাবি জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মামলা জটিলতার কারণে ২০১৪ সালের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাথমিকে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আর এই দীর্ঘ সময়ে নিয়োগ বন্ধ থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে।
কার্টেসি : পর্বপশ্চিম ডট কম